এটি নাবি জাতের (মৌসুমের শেষের দিকে হয়) সুস্বাদু একটি আম। আশ্বিনা ও ল্যাংড়া—এ দুই জাতের আমের মুকুলের প্রাকৃতিক পরাগায়নের মাধ্যমে নতুন জাতটির উৎপত্তি হয়েছে বলে তাঁদের ধারণা। তাঁরা আমটির নাম দিয়েছেন ‘গৌড়মতি’।
শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী শিয়ালমারা এলাকার এক আমবাগানের একটি গাছে এই জাতের আম পাওয়া গেছে। গাছটির আনুমানিক বয়স ১৬ বছর হবে। দূর থেকে এর পাতা দেখতে আশ্বিনা জাতের আমগাছের মতো। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখলে এর পাতা ল্যাংড়া জাতের আমগাছের পাতার মতো দেখা যায়।কৃষিবিদেরা জানান, সাধারণত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়টাকে আমের মৌসুম ধরা হয়। কিন্তু নতুন জাতের এই আম আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত পাওয়া যায়।
নতুন এই আম দেখতে অনেকটা ল্যাংড়ার মতো, আবার ঠিক ল্যাংড়াও নয়। ল্যাংড়ার চেয়ে বেশি মিষ্টি। এর মিষ্টতা অর্থাৎ টোটাল সলিউবল সুগার (টিএসএস) ২১ দশমিক ৭৫ থেকে ২৫ শতাংশ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিখ্যাত সুস্বাদু জাত ল্যাংড়ার মিষ্টতা ১৭ থেকে ১৯ শতাংশ এবং ক্ষীরশাপাতির মিষ্টতা ১৯ থেকে ২০ শতাংশ
ড়মতি জাতের আমের ভক্ষণযোগ্য অংশও বেশি। এর ভক্ষণযোগ্য অংশ প্রায় ৯৩ শতাংশ; যেখানে অন্যান্য সুস্বাদু আমের ভক্ষণযোগ্য অংশ ৮০ থেকে ৮২ শতাংশ। গৌড়মতি আমের আঁটি ও খোসা দুই-ই পাতলা।
ল্যাংড়া আমে একটু টকভাব থাকলেও এই জাতের আমে তা নেই। পাকলে হলুদাভ সঙ্গে সিঁদুরে রঙের মিশেলে আকর্ষণীয় দেখায়। এর ঘ্রাণও চমৎকার। সম্ভাবনাময় এই আমের প্রতিটির ওজন ২৫০ থেকে ৩৫০ গ্রাম।
Reviews
There are no reviews yet.